অনিয়ম হলে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ভোট বয়কট: কাদের মির্জা

অনিয়ম হলে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ভোট বয়কট: কাদের মির্জা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে রুপালি চত্বরে ব্যবসায়ীদের আয়োজনে এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, আমার শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। বিএনপি-জামায়াত প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঝপথে বর্জন করে, এটি তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি।

আমি এখানকার বিএনপির মেয়র প্রার্থী আমার মামা কামাল উদ্দিন চৌধুরী এবং জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মোশাররফকে বলব– কোথাও অনিয়ম হলে তা যদি সত্য হয়, আমিসহ আপনাদের নিয়ে একযোগে নির্বাচন বর্জন করব।

ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা কেউ যেন কোনো অনিয়ম না করে, টিপাটিপি করে কোনো মার্কায় অনৈতিকভাবে ভোট না দেয়, আমার অনুরোধ তারাও যেন নিরপেক্ষ নির্বাচন করায় সহযোগিতা করেন।

কাদের মির্জা বলেন, আজ (সোমবার) সকালে এক পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থী (নাম উল্লেখ করেননি) আমাকে ফোন করে বলেন, আপনার এলাকায় অন্যান্য দলের মেয়র প্রার্থীরা স্বাধীনভাবে ভোট করছেন, আমি তো বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না।

স্থানীয় সংসদ সদস্য একরাম চৌধুরীর ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা আমাকে সহযোগিতা করলে, আমি বসুরহাট পৌরসভাকে সিঙ্গাপুরের শহরে পরিণত করব। এমপি একরাম চৌধুরীর বাড়িতে তার ছেলে (সাবাব চৌধুরী) এবং কুলাঙ্গার এক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (মিজানুর রহমান বাদল) কোম্পানীগঞ্জে অস্ত্র পাঠিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। আমি প্রশাসনকে এসব বিষয়ে জানিয়েছি।

কাদের মির্জা বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে যদি এখানে কোনো লাশ পড়ে, কোনো মায়ের বুক খালি হয়, কারও বাড়িঘর ও খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়, ভোটডাকাতি বা নির্বাচনী প্রহসন হয়- তা হলে এসব কিছুর দায়দায়িত্ব নোয়াখালীর ডিসি-এসপি ও নির্বাচন অফিসারকে নিতে হবে। এ দায় আমাদের এলাকার নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং আমাদের নেতা মন্ত্রী (ওবায়দুল কাদের) এড়াতে পারবেন না।

আপনি আরও পড়তে পারেন